“বড়লোক বাপের বিগড়ে যাওয়া ছেলে।” হ্যাঁ এই প্রবাদটা ১০০ শতাংশ মিলে যায় এই যুবকের সঙ্গে। বলা ভালো তার ঘৃণ্য কাজের পরিমাণ এতটাই বেশি, যা হার মানাতে পারে বিশ্বের তাবড় তাবড় অপরাধীদেরও। মাত্র ২২ বছর বয়সে তার বিরুদ্ধে রয়েছে শতাধিক ধর্ষণ শ্লীলতাহানি ব্ল্যাকমেল সহ একাধিক অভিযোগ। বিগত ৭ বছর ধরে ১০০র বেশী তরুণীর ওপর সে এই ধরনের অন্যায় চালিয়ে গেছে। আর এতসব জঘন্য কাজ সে করে চলেছে শুধুমাত্র পয়সাওয়ালা ক্ষমতাশালী বাবার ছেলে হওয়ার সুবাদে। আরও আশ্চর্যের বিষয় তার এই ধরনের কাজে তার বাবারও সহযোগিতা রয়েছে।

এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় মিশরের রাজধানী কায়রোয। অভিযুক্ত যুবক আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র বলে জানা গিয়েছে। খুব ছোট বয়স থেকেই মহিলাদের ওপর এই ধরনের অত্যাচার সে করে চলেছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন এক ছাত্রী। জানা যায় ছোটবেলায় তার ও তার বোনের শ্লীলতাহানি করে ওই যুবক। দুই বোনের মুখ বন্ধ রাখার জন্য তাদেরকে ব্ল্যাকমেলও করা হয়। তাদের ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে দিনের পর দিন তাদের মুখ বন্ধ রাখা হয়। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সামনে আসতে থাকে ওই যুবকের একের পর এক কুকীর্তির ঘটনা। ছেলেটির বিরুদ্ধে সরব হয় অনেক তরুনী।
জানা যায় এত ঘটনা ঘটানোর পরেও সে পার পেয়ে যেত তার প্রভাবশালী বাবার সৌজন্যে। নিজের পিঠ বাঁচাতে সে বদল করত একাধিক কলেজ। যদিও ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেয় অভিযুক্ত যুবক। জানা গিয়েছে আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গা ঢাকা দিয়ে বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয় ওই যুবক। পরবর্তীতে অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে সাসপেন্ড করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তদন্তে নামে মিশরের জাতীয় মহিলা কমিশন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দিক দেখা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই কোনওভাবেই এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ বরদাস্ত করবে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
Discussion about this post