সারাদিনের কর্মব্যস্ত জীবন থেকে খানিক মুক্তির আশায় এখন অনেকেরই আশ্রয় সিনেমা হল। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খাজা গল্প, অন্যান্য সিনেমা থেকে ‘রিমেক’ করার নামে হুবহু টুকলি, দর্শককে হলমুখী হওয়া থেকে বিরত করছে। আজকাল গল্পের পাশাপাশি ছবির গানও রিমেকের নামেও হুবহু কপি-পেস্ট সংস্কৃতির জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার হিড়িকও ধীরে ধীরে কমছে। অন্যদিকে বড় বাজেটের ছবির পরিমাণও কমছে টলিপাড়ায়। ইন্ডিপেনডেন্ট ছবি বহু ক্ষেত্রেই দর্শক দেখতে পান না। কারণ অনেক সময় সেই ছবি হলে আসার আগেই উঠে যায়।
এরকমই এক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বাঙালি দর্শককে হলমুখী করার মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছেন পরিচালক প্রসেনজিৎ চৌধুরী। বাঙালির থালায় সম্পূর্ন অন্য স্বাদের ছবি পরিবেশনের জন্য তার হাত ধরেই মুক্তি পেয়েছে ‘দিন রাত্রির গল্প’। বাংলায় তৈরি হওয়া প্রথম ‘স্পেস ফিকশন’ এটি। সিনেমায় মহাকাশ যাত্রা আর সঙ্গে অশরীরী অমনিবাস মিলে মিশে তৈরি হয়েছে প্রসেনজিৎ চৌধুরীর ‘দিন রাত্রির গল্প’। এটির সঙ্গী হিসেবে জুড়েছে হাড়হিম করা থ্রিলার। এই সিনেমায় প্রধান অভিনেতা হিসেবে অভিনয় করেছেন রজতাভ দত্ত। এছাড়াও দেখা মিলবে সৌরভ চক্রবর্তী, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতাদেরও। ছবিটি প্রযোজনা করছেন সুপ্রীতি চৌধুরী। গল্প প্রসেনজিৎ এবং সুপ্রীতি দুজনেরই। সুপ্রীতি এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারী বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। প্রথম উইকেন্ডের তিন দিনই নন্দনে প্রতিটি শো-ই হাউসফুল। সমালোচক থেকে দর্শকমহল, ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রত্যেকেই। অন্যরকমের গল্প দেখার আশায় যারা ভিড় জমিয়েছিলেন হলে তাদের কাউকেই হতাশ করেনি এই ছবি। ছবিটির এহেন সাফল্যে উচ্ছসিত প্রযোজক থেকে পরিচালক। বস্তা পচা একঘেয়ে রিমেক, গদগদে মেলোড্রামা বা যৌনগন্ধী থ্রিলারের মাঝে এই ছবি যেন একঝলক টাটকা বাতাস। শহরের মানুষজনও আজকাল অন্য ধারার গল্পের খোঁজেই হলমুখো হতে চাইছে, এই ছবির সাফল্য তারই প্রমাণ।
Discussion about this post