একদিকে হাথরাস অন্যদিকে দিল্লি। ছেলে বা মেয়ে লিঙ্গ যাই হোক না কেন প্রশ্ন একটাই কোথায় নিরাপত্তা? যেই দিল্লিতে নির্ভয়াকে করা হয় ধর্ষণ করে খুন, দেশের প্রাণকেন্দ্র সেই দিল্লিতেই ভিনধর্মে প্রেমের ‘অপরাধে’ পিটিয়ে মারা হয় রাহুল রাজপুতকে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ১৮ বছরের রাহুলের দোষ ছিল সে যার প্রেমে পড়েছিলেন তিনি ছিলেন অন্য সম্প্রদায়ের। মেয়ের বাড়ি প্রথম থেকেই তাদের এই মেলামেশা ভালো ভাবে নিতে পারেননি, আর তাই শাস্তি হিসেবে মেয়ের দাদা পিটিয়ে মারে রাহুলকে। এবার ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন রাহুলের প্রেমিকা।
অঞ্জন দত্তের ‘রঞ্জনা’ গানে প্রেমিকদের কেবল ভয় ছিল, “পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোড়া করে দেব বলেছে পাড়ার দাদারা”। কিন্তু আজ এই একুশ শতকের গোড়াতে দাঁড়িয়ে দাদারা কেবল ঠ্যাং খোড়া করেই শান্ত থাকেননা, নিয়ে ছাড়েন জানও। ১৮ বছরেই শেষ হয়ে গেল রাহুলের সব স্বপ্ন। লেখাপড়ার পাশাপাশি গৃহ শিক্ষকতাও করতেন রাহুল।
রাহুলের প্রেমিকা জানান, ” ঘটনার দিন আমার দাদা আমার কাছে রাহুলের নম্বর চায় তার সাথে টিউশনির ব্যাপারে কথা বলবে বলে। ওর আগের ফোনটা ওর মা বিক্রি করে দিয়েছিল বলে ওকে রাহুলের কাকিমার নম্বর দিই। এরপর রাহুল আমায় জিজ্ঞেস করে আমার দাদার সাথে ওর দেখা করা উচিৎ কিনা। আমি বলি ৫/৭ মিনিটের ব্যাপার চলো ঘুরেই আসি। যাওয়ার সাথে সাথেই রাহুলকে মারতে শুরু করে ওরা, আমি বাঁচাতে পারিনি।”
Discussion about this post