দীপাবলির আলো ছড়ানোর কথা আকাশ প্রদীপের হাত ধরে। কিন্তু সেই আলো ডেকে আনছে মারাত্মক বিপদ। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, উত্তরাখন্ড সহ বেশ কিছু এলাকা জুড়ে চলছে ‘বায়োস্ফিয়ারে’র ওপর অসহনীয় অত্যাচার। পাখির বাসায় বোমা ফাটিয়ে চলছে উৎসবের উল্লাস। অন্যদিকে গাছগুলোর গায়ে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ইলেকট্রিক লাইট। পাইনের বনগুলো জ্বলে উঠছে একের পর এক। এমনই তথ্য উঠে এসেছে পরিবেশ আন্দোলন কর্মী এবং শব্দচাষী সঙ্ঘমিত্রা বনবিবি সেন-এর হাত ধরে। তার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ তিনি বলেছেন, “তাপ আর অনুতাপের মধ্যে পার্থক্যটা মানুষের বোঝা উচিৎ।”
প্রকৃতিকে অত্যাচার করা হলে সেও যে আমাদের ওপর অত্যাচার করবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। গ্লোবাল ওয়ার্মিং শব্দটা আমাদের খুব চেনা। গরমে ঝলসে যাওয়ার সময়ে তাপকে গালি দিতে আমাদের এতটুকু বাঁধে না। কিন্তু নিজেদের কর্মকান্ড নিয়ে মানুষ আর কবে ওয়াকিবহাল হতে পারবে? অন্যদিকে শব্দবাজি যে শুধু শব্দ দূষণ ঘটাচ্ছে তা নয়। পাশাপাশি ঘটছে দৃশ্য দূষণও। শুধুমাত্র উৎসব পালন হবে বলে ছোটো থেকে ছোটো প্রাণী গুলোর প্রাণ কেড়ে নেওয়া কোন ধরণের মানবিক আনন্দ?
জোনাকি পোকার মত খুব ছোট্ট প্রাণীটাও জীব বৈচিত্র্যের এক বিরাট ভূমিকা পালন করে। শুধু পোকামাকড়, প্রাণী হত্যাই নয় মানুষ ক্ষতি করে চলেছে নিজেরও। গর্ভবতী মহিলা বা হৃদরোগে আক্রান্ত কোনো মানুষের পক্ষে এই অত্যধিক শব্দ কোনোভাবেই ভালো নয়। অ্যাজমার রোগীদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে এ ঘটনা থেকে। সঙ্ঘমিত্রা বনবিবি সেন-এর ভাষায়, এই কাজ থামিয়ে নিজেদের রক্ষা করার ক্ষেত্রে আমরা ছোবল না মারতে পারি কিন্তু ফোঁস তো করতেই পারি। মানুষের ঐক্য আর সচেতনতার বিকাশ ভীষণ প্রয়োজন। ‘প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’ না থাকলে এ জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে ক্রমশঃ…
তথ্য এবং চিত্র ঋণ – সঙ্ঘমিত্রা বনবিবি সেন
Discussion about this post