“চন্দননগর স্ট্র্যান্ডের আড্ডা পৌঁছল ৫০ হাজার সদস্যে। সবাইকে অনেক কৃতজ্ঞতা। আপনারা আরও সদস্যকে গ্রুপে ইনভাইট করে পাশে থাকুন।” একটি ঝাঁ-চকচকে পোস্টারে শুধুমাত্র এইটুকু লিখে তা শেয়ার করেই অনায়েসে দায় সারা যেত। ‘চন্দননগর স্ট্র্যান্ডের আড্ডা’ ফেসবুক গ্রুপের ৫০ হাজার সদস্য সংখ্যা পূর্ণ হয়েছে কিছুদিন আগেই। প্রযুক্তির এই যুগে খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। কিন্তু সেই চেনা ছকে হাঁটলেনই না এই গ্রুপের অ্যাডমিনরা। বরং ভালোবাসার দিনে দুঃস্থ মা-শিশুদের পাশে থাকলেন, জোগালেন তাঁদের খাবার।
গ্রুপের অ্যাডমিনদের তরফে জানানো হয়েছে এটি তাঁদের এক সামান্য প্রচেষ্টা। দুঃস্থ মা-শিশুদের তুলে দেওয়া খাবারের তালিকা আলো করে ছিল ভাত, চিকেন কারি, আলুভাজা আর চাটনি। ‘চন্দননগর স্ট্র্যান্ডের আড্ডা’র তরফে বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে। যেমন মাস্ক,স্যানিটাইজার, সাবান, শ্যাম্পু, বিস্কুট এবং চকোলেট উপহার দেওয়া হয়। গ্রুপের অনেক বন্ধু আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন, পাশে থেকেছেন উদ্যোগের। তাদেরকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন সৌরভ পাল, মনন মন্ডল, সালভিয়া শেঠ, অনিরুদ্ধ ব্যানার্জী এবং নবারুণ ভট্টাচার্যকে নিয়ে তৈরি গ্রুপটির অ্যাডমিন প্যানেল! জানা গিয়েছে ৭০ জন মানুষ এই কর্মসূচির ফলে উপকৃত হয়েছেন। এই অনন্য ভাবনায় সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন অভিষেক দে, রাজা অধিকারী শোভন বিশ্বাস, উৎসব নগরী গ্রুপ, সৈকত, দীপায়ন ঘোষ এবং চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পূজা সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার গ্রুপ।
একটি বড় গ্রুপ সামলানোর ঝক্কি নেহাৎ কম নয়, সেটাও নিশ্চয়ই এতদিনে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন গ্রুপের অ্যাডমিনরা। রূপম ইসলাম বহুদিন আগেই বলে গিয়েছেন, “জীবনের ঝালমুড়িতে অহঙ্কার হল কাঁচা লঙ্কা। একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, ৫০ হাজার সদস্যে পৌঁছনোর এই উদযাপন সত্যিই নজিরবিহীন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই শহরের মানুষ অহঙ্কার করতেই পারেই ‘চন্দননগর স্ট্র্যান্ডের আড্ডা’ গ্রুপটিকে নিয়ে।
Discussion about this post