রাজ্যে করোনা ভাইরাসের থাবায় প্রথম মৃত্য ঘটেছে গত সোমবার। করোনায় মৃত্যু হলে মৃতদেহ কীভাবে সৎকার করা হবে তা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। রাজ্যের করোনায় মৃতদের দেহও ঠিক সেই নিয়ম মেনেই সৎকার করা হবে, এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। নির্দেশিকা অনুযায়ী সৎকারের সময় কোনো ধর্মীয় অনুশাসন মানা হবে না। এমনকি আত্মীয়-স্বজনরা মৃতদেহটি স্পর্শও করতে পারবে না। করোনা আক্রান্ত রোগী যেখানে রয়েছে, সেখানে হু’র ছয় পাতার কড়া নিয়মাবলী লেখা কাগজও পাঠানো হয়ে গেছে বলে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। মৃতদেহ সরানো বা সৎকারের কাজে যারা যুক্ত, সংক্রমণ এড়াতে তাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা করে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
নিয়মাবলীতে সৎকারের ক্ষেত্রে এক শতাংশ হাইপাে-ক্লোরাইড ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও চিকিৎসায় ব্যবহৃত যাবতীয় সরঞ্জাম অটোক্লেভ মেশিনে রাখা ও মৃত দেহটি ছিদ্রহীন ব্যাগে রেখে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। মৃতদেহ থেকে কোনওরকম সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, তার জন্য মৃতদেহটিকে কোনওভাবে স্পর্শ না করার নির্দেশও জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। করোনা ভাইরাসে মৃত রোগীদের জন্য বৈদ্যুতিক চুল্লি প্রস্তুত করার প্রচেষ্টা চলছে আলাদা করে। এই কাজে সম্ভবতঃ ধাপায় থাকা ইলেকট্রিক চুল্লিই ব্যবহার করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। গতকাল দমদমের করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিটির মৃত্যুর পর দেহটি সৎকারের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হু’র পর্যবেক্ষকের উপস্থিতিতেই সৎকারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
Discussion about this post