গত কয়েকদিন ধরেই গোটা দেশেই আমরা একের পর এক পশু হত্যার ঘটনা দেখছি। কখনও কুকুর তো কখনও গরু, কখনও স্লথ বিয়ার তো কখনও হাতি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ঘটনায় কাঠগড়ায় মানুষ। অর্থাৎ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীবই খুনির ভূমিকায়।
তেলেঙ্গানার খাম্মাম জেলার আম্মাপালেম গ্রাম। সাধু ভেঙ্কটেশ্বর রাও, গৌডেল্লি গণপতি, গাদ্দাম রাজশেখর নামের তিন ব্যক্তি ফাঁসি দেন একটি বাঁদরকে। একটি ভিডিও সোশ্যাল মিদিয়ায় ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি বাঁদর গাছের ডালে বাঁধা দড়ি গলায় আটকে ছটফট করছে।
বন্যপ্রাণ রক্ষা আইন, ১৯৭২-এর ৫১ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত সাধু ভেঙ্কটেশ্বর রাওকে। এখনও অধরা বাকি দুই অভিযুক্ত। যদিও ভেঙ্কটেশ্বর জেরায় জানিয়েছে তাঁদের জমিতে যাতে বাঁদরের দল ঢুকে না পড়ে, তাঁদের ভয় দেখাতেই এই কান্ড ঘটিয়েছে সে। তবে ভয় দেখানোর অসংখ্য উপায় থাকতে নৃশংসভাবে গলায় ফাঁসি দিয়ে হত্যা? এখানেই উঠছে প্রশ্ন!
Discussion about this post