এক বুক দুশ্চিন্তা নিয়ে অপেক্ষার পালা ফুরলো! ঘরে ফিরল শ্রীরামপুরবাসীর আদরের চিন্টু। ঠিক দু’দিন আগে শ্রীরামপুরের এক জনৈক ব্যক্তি ফেসবুকে পোস্ট দেন চিন্টুকে মেরে ফেলা হয়েছে। সেই পোস্টে আরও বলা হয়, শ্রীরামপুর ওয়ালশ হসপিটালের মর্গে তার শরীর রয়েছে। এমনকি তার শরীর থেকে কিডনি, চোখ, লিভার বার করে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পরেই গোটা শহর জুড়ে তোলপাড় কান্ড। সোশ্যাল মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল চিন্টুর নিখোঁজ হওয়ার খবর। শ্রীরামপুরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো মানুষটি আসলে শহরবাসীর আগেগে গেঁথে গিয়েছেন বিগত তিন দশক ধরেই।
মুহূর্তের মধ্যে সেই খবর এই ভার্চুয়াল জগতে ভয়ের কাঁপুনি ধরিয়ে দেয়। ঠিক এই সুযোগকে লাগিয়ে কিছু কিছু তথাকথিত ‘সমাজসেবী’ শনিবার বিকেলে শ্রীরামপুর পিসি চন্দ্র জুয়েলার্সের সামনে জমায়েত করার ডাকও দিয়ে ফেলেন। ঠিক সেই সময় শ্রীরামপুরের বহু সংগঠনের পাশাপাশি ‘মানবিক’ মঞ্চটি রাস্তায় নামে আসল সত্য উদঘাটনের জন্য। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে এবং ওয়ালশ হসপিটালে খোঁজ নিয়ে বেরিয়ে আসে সত্য। জানা যায় বিগত ২৪ ঘন্টায় এরকম কোনো কেস আসেনি পুলিশ কিংবা হাসপাতালের নজরে। তারপর আরও খোঁজ খবর লাগিয়ে, স্থানীয় কিছু সচেতন মানুষ এবং প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতায় চিন্টু কিছুক্ষণ আগেই ফিরলেন শহরে। জানা গিয়েছে চিন্টু সুস্থ রয়েছেন।
মানবিকের তরফে বিভাস গুপ্ত তাঁর প্রতিক্রিয়ায় ‘ডেইলি নিউজ রিল’কে বলেন, “মানুষ কোন ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে সেটিকে যেন অযথা ভাইরাল না করেন। চিন্টুদার মৃত্যুর ভুয়ো খবর শুনে তাঁর একমাত্র দিদি হন্যে হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছেন। এই শহরের যেসব মানুষ চিন্টুকে ভালবাসেন তাদের কাছেও এটি হয়রানির সামিল। এই ধরনের প্রোপাগ্যান্ডা ছড়ানো বন্ধ হোক।”
Discussion about this post