বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অতুল কুলকার্নি সম্প্রতি কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে উপস্থিত হয়ে এক অনন্য বার্তা দিয়েছেন, যা দেশপ্রেম ও একতার এক নিদর্শন হয়ে উঠেছে। তাঁর কণ্ঠে শোনা গেল এক জোরালো বক্তব্য—“কাশ্মীর আমাদেরই।” এই বার্তা কিন্তু আর পাঁচজনের হুংকারের মত ভৌগলিক অধিকারের প্রতীক ছিল না। ছিল এক গভীর আবেগ ও সংহতির প্রকাশ, যা দেশের প্রতিটি নাগরিকের হৃদয়ে নাড়া দেয়।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে প্রতিটি সংবাদমাধ্যম আমাদের দেখিয়েছে কেমন থমথমে পরিবেশ সেখানে, কিভাবে মানুষ ভয় পেয়ে সিঁটিয়ে আছেন। কিন্তু, অতুল কুলকার্নি দিলেন অন্য বার্তা। তাঁর মতে সন্ত্রাসকারীরা এই ভয়কেই জিইয়ে রাখতে চায়। আমাদের তা সফল হতে দেওয়া উচিৎ নয়। পহেলগাঁওয়ে দাঁড়িয়ে অতুল জানান, এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মানুষের আন্তরিকতা তাঁকে মুগ্ধ করেছে। তিনি বলেন, “কাশ্মীর মানুষের ভালোবাসা, আতিথেয়তা এবং সংস্কৃতির এক অনন্য অধ্যায়।” স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে হাসিমুখে সময় কাটিয়ে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, কাশ্মীরকে আলাদা করে দেখার কিছু নেই—এটি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং সেভাবেই আমাদের মানসিকতায় স্থান দেওয়া উচিত।
অতুল কুলকার্নির এই পদক্ষেপ ও বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছে। অনেকেই বলছেন, তারকাদের এই ধরনের ইতিবাচক উদ্যোগ সমাজে সাহস, আশা ও ভালবাসার বাতাবরণ তৈরি করে। কাশ্মীরের প্রতি এমন আবেগঘন, সংহতিমূলক দৃষ্টিভঙ্গিই আজকের সময়ে অধিক প্রাসঙ্গিক—যেখানে বিভেদের বদলে প্রয়োজন একতার আলো।
Discussion about this post