ডাক্তাররা বলছেন, আজ থেকে দুই দশক আগেও যখন হাসপাতালে তিরিশ বছরের বা তার থেকে কমবয়সী কোনো মানুষ, হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা নিয়ে আসতেন, সারা হাসপাতাল তাঁকে দেখবার জন্য ভেঙে পড়ত। কারণ এই বয়সের মানুষের হার্ট অ্যাটাকের পরিসংখ্যান ছিল খুবই সামান্য এবং অস্বাভাবিক। কিন্তু আজ? তা হয়ে উঠেছে ভীষণ স্বাভাবিক ঘটনা। কেউ জিমে কসরতকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, কেউ স্টেজে পারফর্ম করতে করতে, কেউ দিনের সাধারণ কাজ করতে করতে। এঁরা বেশিরভাগই তিরিশ বা তার চেয়েও কম বয়সি। কোভিডের পরে এই পরিসংখ্যান যেন গেছে আরও বেড়ে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা ভ্যাকসিনের কারণেই এই সমস্যা বেড়েছে।
যন্ত্র, প্রযুক্তি, জীবনযাত্রা, পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে দূষণের পরিমাণ বেড়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক সমস্যার বৃদ্ধিও ঘটেছে নিঃসন্দেহে। কিন্তু সেই সঙ্গে পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যুহারও কিন্তু কমেছে। সেই কমার নেপথ্যে আছে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতি। আজ কলেরা বা টাইফয়েড মহামারীর আকার নেয় না। ওষুধ খেলেই সেরে যায় অসুখ। ওষুধ একপ্রকার প্রাণদায়ী হয়েই ধরা দিয়েছে মানুষের কাছে। কিন্তু এই ওষুধই যদি প্রাণ নেয়? এই আশঙ্কাই করেছিলেন হাতেগোনা কিছু মানুষ। কিন্তু তাঁদের বক্তব্যকে হাইপোথেটিক্যাল বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজ, ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকা আদালতে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হল যে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।
কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের জেরে থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম হতে পারে। এই সিনড্রোমে শরীরে ব্লাড ক্লট হয়। রক্তের প্লেটলেট কমতে শুরু করে। ফলে, ব্রেন স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের আশঙ্কা তৈরি হয়। দীর্ঘদিন ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সন্দেহ উঠেছিল, মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন, কিন্তু ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে সেই সন্দেহকে উড়িয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বেশ ঘটা করেই প্রথম, দ্বিতীয় তারপর বুস্টার ডোজও দেওয়া হয় মানুষকে। কোভিডের জুজু থেকে বাঁচতে এ কোন নতুন বিভীষিকায় মানুষ পা বাড়ালেন, সেটিই এখন মানুষের চিন্তার বিষয়।
Discussion about this post