পুজো এবারের মতো শেষ, কিন্তু বাঙালির ঘোরার মরসুম সবে শুরু। ভ্রমণ পিপাসুরা ভিড় এড়াতে চাইলে তো রয়েইছে নানান অফবিট জায়গার ঠিকানা। তেমনই এক ঠিকানা হল কার্শিয়াং থেকে মাত্র ১৭ কিমি দূরে অবস্থিত ছোট্ট একটি গ্রাম বাগোরা। যেখানে কখনো রোদের ঝিলিক বা কখনো মেঘের হাতছানি। সবসময়ই লুকোচুরি খেলা চলছে মেঘ আর রোদ্দুরের। ৭২০০ ফুট উচ্চতায় মেঘের মধ্যেই নির্জনে শুয়ে রয়েছে অপূর্ব এক অফবিট গন্তব্যস্থল।
শান্ত নিরিবিলি ছোট্ট একটি পাহাড়ি গ্রাম এই বাগোরা। কুয়াশায় ঢাকা থাকলেও আকাশ পরিষ্কার হলেই উঁকি দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা। নানারকম বাহারি ফুলের সৌন্দর্য আর পাখিদের কিচিরমিচির গ্রামের শোভাকে আরও দ্বিগুণ করে তুলেছে। সব মিলিয়ে মন ভালো করে দেওয়ার মতো পরিবেশ। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা নদী। অনেকে কমলালেবুর বাগান দেখতে সিটং গ্রামে চলে যান, কারণ কিন্তু এখানেও আপনি পাবেন কমলালেবুর বাগান। এছাড়া কাছেই অবস্থিত চিমনি গ্রাম, চটকপুর, মংপু ও নানা জায়গা। এই মনোরম পরিবেশে পায়ে হেঁটে ঘুরলেও এতটুকু ক্লান্তি ছোঁবে না।
থাকার জায়গা হিসাবে বনদপ্তরের একটি বাংলো রয়েছে। তাছাড়া রয়েছে হোম স্টে। মাথাপিছু ১২০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন ভালো থাকার জায়গা। কলকাতা থেকে বাগোরার দূরত্ব ৬০০ কিমি। তাছাড়া শিলিগুড়ি থেকে কার্শিয়াং হয়ে যেতে পারেন। এনজেপি কিংবা দার্জিলিং মোড় থেকেও সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে আসতে পারেন। যদি পাহাড়প্রেমী হন তাহলে বাগোরা আপনাকে একেবারেই হতাশ করবে না। তাই দেরি না করে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করলে আজই গন্তব্য ঠিক করে নিন মেঘেদের রাজত্বে।
Discussion about this post