মহিলাদের নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগে প্রায়ই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরিস্থিতির নিরিখে আমাদের দেশের আইন-ব্যবস্থাতেও বদল আনা হয়েছে মহিলাদের অনুকূলেই। কিন্তু প্রদীপের নীচেই যে অন্ধকার! এবার হরিয়ানার গুরুগ্রাম নিবাসী এক মহিলার বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠল ভুয়ো ধর্ষণের মামলা দায়ের করার। জানা গেছে, একাধিক পুরুষকে ফাঁসিয়ে তাদের লুঠ করার উদ্দেশ্যেই এই চক্রান্ত।
জনৈক সমাজকর্মী ও তথ্যচিত্র নির্মাতা দীপিকা নারায়ণ ভরদ্বাজ পুলিশের কাছে ওই মহিলার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি সামনে আসে। অভিযোগ অনুযায়ী, সেই মহিলা এখনও পর্যন্ত অন্ততঃ সাত জন পুরুষের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁরা ঘটনাগুলি যাচাই করছেন এবং শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দায়ের করা সাতটি মামলার মধ্যে দুটিকে পুলিশ ইতিমধ্যেই মিথ্যা প্রমাণ করেছে।
পুলিশ কমিশনার কে কে রাওয়ের কাছে দায়ের হওয়া অভিযোগ থেকে জানা গেছে, অভিযুক্ত মহিলার বয়স ২০ বছর। কিন্তু তাঁর দায়ের করা বিভিন্ন অভিযোগে তাঁর জন্ম তারিখ ভিন্ন ভিন্ন। তিনি প্রথমে জিম, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদির মাধ্যমে পুরুষদের সাথে দেখা করেন। তারপর তাঁদের সঙ্গে সম্মতিপূর্ণ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। তারপরই শুরু হয় ঝোপ বুঝে কোপ মারার অধ্যায়। তাঁদের থেকে অর্থ আদায় কিংবা বিয়ের জন্য চাপ দিতে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মাত্র ২০২০-২১ সালের মধ্যেই তিনি গুরুগ্রামের ছয়টি থানায় ছয়টি ভিন্ন পুরুষের বিরুদ্ধে ছয়টি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন ৪৫ বছরের প্রতিবেশী মহিলার হাতেই নাবালকের ধর্ষণ! অভিযুক্ত পলাতক
এমনকি, দুই পুলিশ কর্মকর্তা তাঁর অভিসন্ধি বুঝেও ফেলে তাঁর নির্দেশ মানতে রাজি হননি। কিন্তু তিনি উল্টে অকর্মণ্যতার অভিযোগ তুলে ওই দুই কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করিয়ে দেন। কিন্তু এত কিছু করেও হল না শেষ রক্ষা। মহিলাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে যে আইন তৈরী হয়েছে, সেই মহিলারাই তার অন্যায় সুযোগ নিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আসল নির্যাতিতারাই। কথায় বলে, মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু। অভিযুক্ত মহিলা আরও একবার সেটাই প্রমাণ করে দিলেন!
Discussion about this post