আফগানিস্তানে দীর্ঘ দু’দশকের লড়াইয়ের পর হঠাৎই যেন দাঁড়ি বসিয়ে দিল আমেরিকা। মার্কিন সেনাবাহিনীকে হিসেব মতো আফগানিস্তান ছাড়তে হয়েছে হল। তবে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তারা ছেড়ে গিয়েছে ১২টিরও বেশি সেনাবাহিনীর কুকুর। আগস্ট শেষে আমেরিকান সেনাবাহিনী আফগানিস্তান ছাড়তেই যেন তালিবান গোটা দেশ জুড়ে উদযাপন করতে শুরু করেছে তাদের বিজয়। যদিও তালিবান কাবুল দখল করতে না করতেই আফগানরা নিজেদের দেশ ছেড়ে পালাতে মরিয়া। তারা শঙ্কিত তালিবানরা যতই মুখে পরিবর্তনের বুলি আওড়াক না কেন,তারা আছে তালিবানেই। এমন পরিস্থিতিতে কী করে আমেরিকার সেনাবাহিনী কুকুরগুলোকে ছেড়ে আসতে পারল? তাদের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করছে পশুপ্রেমী সংগঠন থেকে সাধারণ মানুষজন
দেশ ছাড়তেই যেন ফুরিয়েছে তাদের প্রয়োজন। অথচ সেনাবাহিনীর দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিল তারাও। নিজেদের অজান্তেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে একের পর এক লড়াইয়ে। বাইডেন সরকার এ কথা মানতে যদিও নারাজ। পেন্টাগন প্রেস সেক্রেটারি জন কির্বি জানিয়েছেন, কুকুরগুলো আদতে কাবুল স্মল অ্যানিমেল রেস্কিউয়ের তত্ত্বাবধানে ছিল। গত এক বছর ধরে তারা এই কাজ করে আসছে। সুতরাং, এগুলি সেনাবাহিনীর অংশ কোনভাবেই হতে পারে না। তারা জানায়, কাবুল স্মল এনিমেল রেস্কিউ দলটি কাবুল ছাড়ার সময় কুকুরগুলোকে বিমানে চাপানোর অনুমতি পায়নি।ফলে বিমানবন্দরে কুকুরগুলোকে খাঁচায় বন্দি করে রেখে যেতে তারা বাধ্য হয়।
একই সঙ্গে জানানো হয় সেখানে কুকুর ছাড়াও রয়েছে সেখানে রয়েছে অনেকগুলি বিড়ালও। যদিও বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংস্থা এই ঘটনায় কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে মার্কিন সেনাকেই। সারমেয়র সেই দলকে উদ্ধার করতে বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ‘ভেটারেন শিপডগস অফ আমেরিকা’ নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই ঘটনা আবার যেন খানিক প্রশ্ন ছুঁড়লো মানব সম্প্রদায়কে, মানুষ প্রাণী জগতে আদতেই কি শ্রেষ্ঠ! যে সারমেয় সভ্য মানুষের সাথে প্রথম এসেছিল জঙ্গল থেকে, মানুষ প্রয়োজনে ছেড়ে পালিয়ে যায় তাদেরও।
Discussion about this post