সেন্টার ফর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ের সাম্প্রতিক তালিকায় রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ভারতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও আরও একটি সুখবর নিয়ে এসেছে যাদবপুর। যাদবপুরের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা বর্তমানে একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে যার নাম “সাধারণ মানুষের পাশে যাদবপুর।” পেছনে তাকালে দেখা যাবে নানা সময়ে নানা সামাজিক সমস্যায় বরাবর এই বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারাই এবার এগিয়ে এসেছে মহামারী মোকাবিলায়।
পরিযায়ী শ্রমিক তথা সাধারণ মানুষের ওপর মহামারী এবং লকডাউনের প্রভাব যথেষ্ট চিন্তায় ফেলেছে পড়ুয়াদের। গত বছর এরকম পরিস্থিতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অনলাইন ফর্ম ফিল-আপ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন বহু ছাত্রছাত্রী। সেই কারণে গ্রামাঞ্চলে সাহায্যের জন্য অনলাইন পরিষেবা সমেত বুথ খোলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। নিজেরাই সঠিক নিয়ম মেনে স্যানিটাইজার বানিয়ে বিতরণও করে উল্লেখযোগ্য হারে। গ্রাম-মফঃস্বলে মহামারী সতর্কীকরন, ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প ইত্যাদিও আয়োজিত হয়। “সম্প্রতি এই উদ্যোগের সাথে যুক্ত হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ছাত্রাবাসে একটি অক্সিজেন সাপোর্টেড সেফ হোম তৈরির কাজ, যা ইতিমধ্যেই সক্রিয়ভাবে শুরু হয়ে গেছে।” জানালেন বিজ্ঞানের ছাত্র সাগ্নিক ভট্টাচার্য।
এ বছরের শুরু থেকেই অক্সিজেন, বেডের অপর্যাপ্ততা এবং মৃত্যুহার বাড়তে দেখা যায়। ফলতঃ সরকারি উদাসীনতা সত্ত্বেও ছাত্রছাত্রীরা দলবদ্ধভাবে কর্তৃপক্ষ কাছে চিকিৎসার স্বার্থে হস্টেল ও ক্যাম্পাস ব্যবহারের আবেদন জানায়। তিন ফ্যাকাল্টির ইউনিয়ন সমবেতভাবে ব্যবস্থাপনা, অর্থ সংগ্রহ, ভলেন্টিয়ারিংয়ের দায়িত্ব নেয়। এই মুহূর্তে জেনারেল বডি মিটিংয়ের মাধ্যমে এগোনো সম্ভব না হলেও সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মতামত নিয়েই চলছে কাজ। ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন অন্যতম উদ্যোক্তা, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র গৌরব দাস। কাজের অগ্রগতির তথ্য Sadharon Manusher Pashe Jadavpur ― An initiative by FETSU, SFSU and AFSU. নামের ফেসবুক গ্রুপে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। আম্ফানের মতন ইয়াসের ফলে ঘটা ক্ষয়ক্ষতি নিয়েও শীঘ্রই কিছু ব্যাবস্থা নেওয়া হবে জানাচ্ছেন পড়ুয়ারা। বাংলা বিভাগের ছাত্রী কাজরী মজুমদার বলছেন, “আমরা আমাদের সব টুকু দিয়েই চেষ্টা করছি এই অতিমারীতে যেভাবে পাশে থাকা যায়। এই মুহূর্তে প্রয়োজন আরও বেশ খানিকটা অর্থ সাহায্য।”
প্রতিবেদনে অনুষ্কা সাহা
Discussion about this post