চিকিৎসার পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই কলম ধরেন ডা: প্রদীপ কুমার দাস। এবার তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তাঁর কন্যা ঈশিতা দাস,যিনি বর্তমানে আর জি কর মেডিকেল হাসপাতালে শিশুবিভাগে এম.ডি করছেন। বাবা-মেয়ের যৌথ উদ্যোগেই আগামী ৪ অক্টোবর শ্রীরামপুর টাউন হলে হেমন্ত স্মরণ সংসদ আয়োজিত হেমন্ত সন্ধ্যায় মুক্তি পেতে চলেছে তাঁদের অণু গল্পের সংকলন ‘গল্পাণু’। ডেইলি নিউজ রিলের তরফে লেখক প্রদীপ কুমার দাসের সঙ্গে আলোচনায় জানা গেল বই বিষয়ক আরও কিছু খুঁটিনাটি।
হঠাৎ অণুগল্প কেন?
এই ব্যস্ত জীবনে এখন মানুষের হাতে সময় খুব কম। বড় বড় উপন্যাস বা গল্প পড়ার ধৈর্য্য মানুষের নেই, তারা সবকিছুই ‘সংক্ষেপ’ পছন্দ করেন। তাই-ই অণুগল্প। ৫০ শব্দেই তুলে ধরতে চেয়েছি একেকটা গল্প। অণুগল্পের মজা হল গল্প পড়লাম,শেষ-ও হয়ে গেল তাড়াতাড়ি কিন্তু রেশ থেকে যায় অনেকক্ষণ। এই অণুগল্পের জনপ্রিয়তা আমেরিকা চিন সহ একাধিক দেশে রয়েছে।
ক’টি অণুগল্প পাচ্ছি আমরা ‘গল্পাণু’তে?
আমি এবং আমার কন্যা মিলে মোট ৪২ টি অণুগল্প তুলে দেব পাঠকদের হাতে। মাত্র ৬২ পাতার বইতে রয়েছে ৪২ টি অণুগল্প। আমাদের বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকেছেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সমীর দাস। গল্পের অলংকরণ করেন কলকাতা গার্লস কলেজের অধ্যাপিকা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং একজন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী অরুন্ধতী চৌধুরী। কলেজস্ট্রীটের মান্না পাবলিশার্সের হাত ধরেই মুক্তি পেতে চলেছে ‘গল্পাণু’।
১০, ৫ বা ১০০ শব্দ নয়! কেন ৫০ শব্দের মধ্যেই প্রতিটি অণুগল্প লেখা?
সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ছোট গল্প লেখ রয়েছে মাত্র ৬ শব্দে। আমেরিকার বিশিষ্ট নোবেলজয়ী সাহিত্যিক আর্নেস্ট হেনিং ওয়েল গল্পটি লিখেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘শিশুর জন্য নতুন জুতো ব্যবহৃত হয়নি’, মাত্র এই ৬ শব্দেই মানুষের চিন্তনে একটি গভীর ভাবনা নাড়া দিয়ে যাবে। এটিই অণুগল্পের আকর্ষণ। মানুষের এই ইঁদুর দৌড়ে বড় লেখা পড়ার ধৈর্য্য নেই তাই ৫০ শব্দেই তুলে ধরতে চেয়েছি পুরোটা।
Discussion about this post