৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে চেন্নাই তথা তামিলনাড়ুর উপকন্ঠে অবস্থিত প্রত্যন্ত এক গ্রাম কুথামবক্কম পরিস্থিতি মোটেও শান্তিপূর্ণ ছিলনা। অবৈধ মদের ব্যবসা, দারিদ্র্য, গৃহস্থ হিংসা, দলিত সমস্যা, জাতি বৈষম্যের মত তীব্র সামাজিক অসুখে জর্জরিত ছিল এই গ্রাম। তবে সেসব এখন অতীত! ৬১ বছরের গবেষক ইঞ্জিনিয়ার, ইলেঙ্গো রঙ্গস্বামীর প্রচেষ্টায় গ্রামে এসেছে সুদিন। জীবন মান বেড়েচগে গ্রামবাসীদের, বন্ধ হয়েছে মদের কালোবাজারি।

কুথামবক্কমে স্কুল শেষ করার পরে, ইলেঙ্গো রঙ্গস্বামী উচ্চ শিক্ষার জন্য চেন্নাই চলে আসেন। স্নাতক শেষ হওয়ার পরপরই, তিনি ওয়েল ইন্ডিয়াতে একজন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে নিযুক্ত হন। কিন্তু এত সুরক্ষিত জীবন পেয়েও তিনি ভোলেননি তার গ্রামের কথা। নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে নিজের শিক্ষাকেই গ্রামের উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার করে তুলতে চেয়েছিলেন তিনি। শিক্ষার আলোয় এখন এই গ্রামে মুছে গেছে হিংসা হানাহানি, জাতি বিদ্বেষের মতোন কঠিন অসুখ গুলোও।

এত সুযোগ সুবিধা পাওয়া সত্ত্বেও গ্রামের প্রতি টান থেকেই ১৯৯৬ সালে চেন্নাইয়ের সরকারি চাকরি ছেড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দাঁড়ান ইলেঙ্গো। নির্বাচন জিতে গ্রাম সংস্কারের কাজেই তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেন। তৈরি করেন ‘পঞ্চায়েত অ্যাকাডেমি’। ক্রমেই তার হাত ধরে হিংসা হানাহানিতে ভরা গ্রামটিতে যেন কার্যত বসন্তই আসে। মহামারীর এই কঠিন আবহে, ইলোঙ্গা ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছেন সৌরচালিত জীবাণু নাশক। তার প্রধান লক্ষ্য এই প্রকল্পের মাধ্যমে সারা ভারত জুড়ে চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি করা এবং মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলা।
চিত্র ঋণ – the better india







































Discussion about this post