করোনার কবলে জর্জরিত গোটা বিশ্বে রোজই নয়া রেকর্ড গড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বিশ্ববাসী কার্যত চাতকের মত চেয়ে রয়েছে সুদিনের আশায়। এই পরিস্থিতিতে আরও মর্মান্তিক সতর্ক বার্তা দিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। রাষ্ট্রপুঞ্জের আশঙ্কা, এই অতিমারীকালে খুব শিগগিরই বিশ্বের চারটি খাদ্য বঞ্চিত অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। তাদের আশঙ্কা ইয়েমেন, দক্ষিণ সুদান, উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়া এবং কঙ্গো শীঘ্রই পড়তে পারে দুর্ভিক্ষের কবলে।
একদিকে করোনার তীব্র সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে মানুষের জীবন ও জীবিকা। কাজ হারিয়ে বেকার দশায় দিন কাটাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। এর মধ্যেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অর্থনৈতিক মন্দা, জনস্বাস্থ্য সংকট একইসাথে এই অঞ্চলগুলোতে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি আরো তীব্র করেছে। এছাড়াও রাষ্ট্রপুঞ্জের কর্মকর্তারা এর আগেই জানান,দীর্ঘস্থায়ী সশস্ত্র সংঘাত এবং মানবিক ত্রাণ সরবরাহকারীরা এই অঞ্চলে প্রয়োজনীয় ত্রাণ বিতরণে ব্যর্থ হওয়ায় এই চারটি অঞ্চলে আরও জেঁকে বসেছে খাদ্য সঙ্কট।
এই অবস্থায় এই অঞ্চলগুলিকে ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ক্ল্যাসিফিকেশন বা আইপিসি স্কেলে জরুরি ভিত্তিতে খাদ্যের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা হয়।এর মধ্যে তৃতীয় ফেজে তৈরি হয় আর্থিক সঙ্কট, চতুর্থ ফেজে তৈরি হয় জরুরি অবস্থা এবং এই দুই ফেজ মোকাবিলা করা সম্ভব না হলে পঞ্চম ফেজে দেখা দেয় দুর্ভিক্ষ। আর এই অবস্থাতেই চরম দারিদ্র ও অপুষ্টির কারণে দেখা দেয় মৃত্যু।
বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলির অন্যতম ইয়েমেনে গত দু’বছর আগেই দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পাশাপাশি ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে দুই সম্প্রদায়ের গৃহযুদ্ধ, মুদ্রা ধ্বস, খাদ্য ব্যয় বৃদ্ধি, পানীয় জলের দাম বৃদ্ধি সহ একাধিক কারণের জেরে ইয়েমেন দুর্ভিক্ষের আগের পর্যায়ে বা চতুর্থ ফেজে রয়েছে। আর তিনটি অঞ্চলেও এমনই অসংখ্য কারণের জন্য আরও এগিয়ে চলেছে দুর্ভিক্ষ পর্যায়ের দিকে।
Discussion about this post