কোভিড ভীতি কাটিয়েই হোক কিংবা কোভিডকেই ভবিতব্য মেনে হোক, এই মুহূর্তে সভ্যতা জুড়ে চলছে আনলকের পালা। এরই মধ্যে কিন্তু থেমে নেই মারন-ভাইরাসের মরন-কামড়। এই খারাপ সময়ে স্বার্থহীনভাবে মানুষের পাশে রয়েছে কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্ক। তাঁরা হাওড়া, হুগলী সহ সাতটি জেলা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। সাধারণ মানুষের হাতে তৈরি এই মঞ্চ সামাজিক ট্যাবু সহ অন্যান্য সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে আমার-আপনার পাশে থাকছে। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে হুগলীর শ্রীরামপুরে শনিবার সকালে হয়ে গেল আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সভা।
সভার শুরুতেই কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্কের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে দেন করোনাকে পরাজিত করে ফেরা মনো-সমাজকর্মী মোহিত রণদীপ। এরপরই অপেক্ষা করছিল চমক। বক্তব্য রাখতে শুরু করেন ডাক্তার এবং গবেষক অভিজিৎ চৌধুরী। ঝাঁ-চকচকে লম্বা-চওড়া ভাষণ একেবারেই নয়। বরং চাঁছা-ছোলা ভাষায় তিনি হাজির দর্শকদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন তুলে ধরেন। তাঁর কথায় আতঙ্ক নয়, বরং সতর্কতা আর সহমর্মিতাই হতে পারে করোনা বধের মারণাস্ত্র। তিনি সোশ্যাল মাধ্যমে করোনা সংক্রান্ত ভুয়ো খবরের ব্যাপারটিও তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্য, “খবরের খোলা জলে আমরা দুঃখের সাঁতার কাটছি।” পাশাপাশি তিনি এও বলেন, “কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্ক একেবারেই সাধারণ মানুষের মঞ্চ যেটি জাতি-ধর্ম-রাজনীতি নির্বিশেষে সকলের অঙ্গন হতে চায়। আপনাদের অংশগ্রহণ মূলক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমেই এই মঞ্চ করোনাকে পরাজিত করার লক্ষ্যে আপনার সুরেই গলা মেলাবে।”
এদিনের সভায় হাজির ছিলেন বিপদে আপ্রাণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো একটি মুখ, জলি মুখার্জী। তিনিও বলেন, হতেই পারে এটি মারণ ভাইরাস। তবে সঠিকভাবে এই রোগের বিরুদ্ধে মানুষ সচেতন হলে জিতবো আমরাই। অন্যান্য বক্তাদের গলাতেও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথাই বারবার উঠে আসে।
কভার চিত্র ঋণ – সুমন্ত বড়াল এবং তন্ময় ভট্টাচার্য্য
Discussion about this post