সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO) প্রকাশিত সর্বশেষ রিপোর্টে গুণমান পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছে ১৪৪টি ওষুধ। গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার পর ৫১টি ওষুধ বাতিল করা হয়েছিল। আর জানুয়ারির পরীক্ষায় সেই সংখ্যা হয়েছে ৯৩। এই তালিকায় রয়েছে বহুল ব্যবহৃত ওষুধ, এমনকি শিশুদের ব্যবহারের সিরাপ ও ক্ষতস্থানে লাগানোর মলমও। পশ্চিমবঙ্গ ফার্মার লিঙ্গার ল্যাকটেটসহ একাধিক নামি ব্র্যান্ডের ওষুধও পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছে।
CDSCO-র রিপোর্ট অনুযায়ী, বাতিল হওয়া ওষুধগুলোর মধ্যে প্যারাসিটামল, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক, পিপিআই, অ্যান্টিএলার্জি, বমিভাব কমানোর ওষুধ, হজমের ওষুধ, ভিটামিন এবং মাথা ঘোরার ওষুধ রয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের সিরাপ ও সাধারণত ব্যবহৃত ব্যথানাশক ওষুধগুলোর গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত যে ওষুধগুলো সেবন করেন, সেগুলোর মান পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে চিকিৎসকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এই রিপোর্ট রাজ্যের স্বাস্থ্যের ভিতকেই নড়বড়ে করে দিয়েছে। চিকিৎসক প্রেসক্রিপশন দিচ্ছেন, রোগীরা সেই ওষুধ গ্রহণ করছেন, কিন্তু মাঝখানে গুণমান অনুত্তীর্ণ ওষুধের জন্য রোগীরা সুস্থ হচ্ছেন না। মৃত্যুর হারও বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উঠেছে।
তথ্যসুত্রঃ এবিপি আনন্দ এবং টিভি নাইন বাংলার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট
Discussion about this post