শুরু হয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। বাঙালির জীবনে এই মেলা শুধু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয় বরং একটি আবেগ, স্মৃতি, এবং নস্টালজিয়ার অংশ। ১৯৭৬ সালে শুরু হওয়া এই বইমেলা আজ বিশ্বের বৃহত্তম বইমেলা হিসেবে পরিচিত। এই উৎসব শুধুমাত্র বইয়ের নয়, চিত্রশিল্পী, হস্তশিল্পীদের জন্যও একটি বড় মঞ্চ। এঁরা মেলার শুরু থেকেই অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। এবার এদেরকেই ঠাঁই দেওয়া হচ্ছেনা মেলায়।
বইমেলার পরিচালনা কমিটি বা গিল্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে মেলার মাঠে বসা শিল্পী এবং হস্তশিল্পীদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। এটি স্পষ্টতই স্থানীয় শিল্পী ও হস্তশিল্পীদের আয়ের এবং তাদের শিল্প প্রদর্শনের সুযোগ কমিয়ে দেবে। মেলার একাংশ বরাবরই ছিল এই ধরনের শিল্পের জন্য। তাঁরা সবরকম শৃঙ্খলা বজায় রেখে মাটিতে নিজেদের পসরা সাজিয়ে বসতেন। এবার গিল্ডের সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের।
গিল্ডের পক্ষ থেকে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের কারণ পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। শিল্পীদের অনুমান, তাঁরা গিল্ডকে মেলার মাঠে বসার বিনিময়ে কিছু দেননি বলেই হয়ত এই ব্যবস্থা। কিন্তু তাঁদের বক্তব্য তাঁরা কোনো স্টল চাননি, কোনো বিশাল জায়গাও তাঁদের চাইনা। বইমেলা তাঁদের আয়ের একটি বড় উৎস। তাছাড়া, শিল্পীদের বাদ দিলে মেলার বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্যকেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তাঁরা মনে করছেন। ঠাঁই না পেলে আন্দোলনে নামবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা
Discussion about this post