শোনা যায়, একটা সময় পৃথিবী বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক, গবেষক স্টিফেন হকিংয়ের ঘরে গেলেই দেখতে পাওয়া যেত ঠিক দুইজন মানুষের পোস্টার। একজন আইজ্যাক আইনস্টাইন এবং অন্যজন মেরিলিন মনরো। নোবেলজয়ী সর্বকালের সেরা পদার্থবিজ্ঞানীর প্রতি আরেকজন বিজ্ঞানীর ভক্তি থাকবেই, এটি খুবই স্বাভাবিক। তবে সর্বকালের সেরা লাস্যময়ী তারকা অভিনেত্রীর ফ্যানবয় ছিলেন স্টিফেন হকিংয়ের মত বিজ্ঞানীও। আর আরও মজার বিষয় হল, এই মেরিলিন মনরো আবার নাকি ভক্ত ছিলেন আইনস্টাইনের।
গুজব রয়েছে অভিনেত্রী নাকি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন আইনস্টাইনকে। যদিও তাঁদের আদপে কোনো সম্পর্ক ছিল কিনা, সেটিও প্রমাণিত হয়নি কখনও। কিন্তু বিখ্যাত মানুষ বা লাস্যময়ী অভিনেত্রীকে নিয়ে মানুষ ভাবতে, গল্প তৈরি করতে ভালোবাসে। ফলে বাতাসে ভাসে এই গল্পটিও। একদিন নাকি মনরো আইনস্টাইনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন। তিনি বলেন, ‘‘লেটস গেট ম্যারেড। তাহলে আমাদের সন্তান হবে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সন্তান। দেখতে হবে আমার মতো আর বুদ্ধিতে আপনার মতো।’’ আইনস্টাইন নাকি সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলেন, ‘’আর যদি উল্টোটা হয়? দেখতে যদি হয় আমার মতো আর বুদ্ধিতে আপনার মতো?’’
আইনস্টাইনের কাছে একবার আপেক্ষিকতার সহজ ব্যাখ্যা চাওয়া হলে তিনি বলেছিলেন, যেকোনো সেমিনারে ১০ মিনিটকে মনে হয় এক ঘণ্টা, কিন্তু যদি কোনো সুন্দরী অভিনেত্রীর সঙ্গে আপনি গল্প করতে পারেন, তাহলে দেখবেন মাত্র দুই মিনিটে এক ঘণ্টা চলে গেছে! এটাই আপেক্ষিকতা। তিনি ছিলেন বিজ্ঞানী। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল গুরুগম্ভীর। কিন্তু রসবোধ ছিল ভরপুর। প্রতিটি যথার্থ শিল্পী সম্ভবত এমনটাই হয়ে থাকেন। ঠিক যেমন ছিলেন মেরিলিন মনরোও। চল্লিশ বা পঞ্চাশের দশকে নারীকে হয় সন্তান প্রতিপালনের বস্তু, অথবা ভোগ্যপণ্য হিসেবেই গণ্য করা হত। সেখানে একজন নারীর যে রসবোধ থাকতে পারে, সে ধারণা করাই ছিল অবাস্তব!
১৯৪৭ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত অভিনেত্রী শেলি উইন্টারের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন মেরিলিন মনরো। শেলি বলেন, মেরিলিনের সাধারণত সুন্দর পুরুষের থেকে, নিজের থেকে বয়সে বড়, বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের প্রতি আকর্ষণ ছিল বেশি। একবার শেলি ও মনরো নিজেরা মজা করেই বিখ্যাত পুরুষদের দুটি তালিকা তৈরি করেন করেন। যে যে বিখ্যাত পুরুষের সঙ্গে তাঁরা সখ্য গড়ে তুলতে চান, তাদের নামই ছিল সেই তালিকায়। মনরোর তালিকায় শেলি আইনস্টাইনে নাম দেখে অবাক হয়ে পড়েন। ‘’উনি একজন সায়েন্টিস্ট এবং বুড়ো’’, এই কথার জবাবে মুচকি হাসি হেসেছিলেন মেরিলিন মনরো।
Discussion about this post