কে সবচেয়ে বেশি ওজন তুলতে পারেন, সেই নিয়ে তৈরি খেলা! ক্রীড়ার নাম ভারোত্তোলন। প্রাচীন কালে মিশর, চীন এবং গ্রিসে এই খেলার উৎপত্তি হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। সেই সময় সমাজের নিচু স্তরের মানুষের খেলা হিসেবে একে দাগিয়ে দেওয়া হলেও আজ মহা সমারোহে খেলাটি জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলিতে। ঊনবিংশ শতকে ইউরোপে ভারোত্তোলনকে আধুনিক ক্রীড়ারূপে মান্যতা দেওয়া হয়। ১৮৯৬ সাল থেকে ভারোত্তোলন অলিম্পিকেও ঠাঁই নিয়েছে স্বমহিমায়। খেলার ধরণ অনুসারে আজ একে স্ট্রেংথ লিফটিং, পাওয়ার লিফটিং, ওয়েট লিফটিং প্রভৃতি বিভিন্নভাগে ভাগ করে দেওয়াও হয়েছে।
সম্প্রতি রাজ্যস্তরের স্ট্রেংথ লিফটিং প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করলেন রিষড়ার ছেলে সৌরভ দাস। সৌরভ পেশাগতভাবে স্কুল শিক্ষক। শ্রীরামপুরের একটি স্কুলের আইটি ও কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষক সৌরভ কিছু বছর আগেও ভাবেননি, যে তিনি আজ রাজ্যস্তরের স্ট্রেংথ লিফটিং প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরষ্কার গ্রহণ করবেন। ছোটবেলা থেকে খেলাধূলায় আগ্রহ থাকলেও, শরীর গঠন ও শক্তিবৃদ্ধির জন্য জিমে যাওয়া শুরু করেন ২০১৭ সাল থেকে। আর ২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারী তিনি রাজ্যে প্রথম! এত কম সময়ে এই সাফল্যে খুশি তিনি, তাঁর শুভানুধ্যায়ী এবং প্রশিক্ষকেরা। এছাড়াও, ২০২৩ সালে তিনি ইন্টার ডিসট্রিক্ট প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি এই আরও বড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নেবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যান্য দেশের মত ভারতেও খেলাধূলাকে গুরুত্ব দেওয়া হলে এবং স্পোর্টসের সঠিক পরিকাঠামো তৈরি হলে আরও অনেক ছেলেমেয়েরা এগিয়ে আসবেন বলে সৌরভ মনে করেছেন। তাঁর মতে ক্রিকেট, ফুটবল; মূলত ক্রিকেটের মত উন্মাদনা যদি অন্যান্য খেলাগুলির জন্যেও হয় তবেই খেলা সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির বদল হবে। এখন ভারতের হয়ে সোনা জেতার স্বপ্ন দেখছেন সৌরভ। পাওয়ার লিফটিং, ওয়েট লিফটিং, আর্ম রেসলিংয়ের জন্যও প্রস্তুতি তিনি নেবেন বলে জানিয়েছেন। আর প্রতিটি খেলাতেই তিনি জিততে চান।
Discussion about this post