প্রকৃতি নিয়মের শৃঙ্খলে বন্দী, সে ভাঙতে পারে না শিল্পের জন্য নিয়ম। তবে একজন শিল্পীর সেই ক্ষমতা আছে। দৃশ্য বা অদৃশ্য যে কোনো ভাবরূপ শিল্পীর মাধ্যমে স্থিতিশীল রূপপ্রকাশ ঘটাই হল শিল্পকলা। কথায় বলে, অনুভূতি থেকে জ্ঞানের উদ্ভব, যার থেকে জন্ম হয় শিল্পের। এমনই একজন দক্ষ বিশেষ ভাবে সক্ষম শিল্পী থিম্পুর পেমা সেরিং। অল্প বয়সেই জটিল রোগে অকেজো হয়ে পড়ে পেমার দুই হাত। কিন্তু নিজের অদম্য ইচ্ছা শক্তির জোরে, পেমা আজ থিম্পুর একজন পরিচিত কাঠ শিল্পী ও রং শিল্পী।
প্রকৃতি নিয়মের শৃঙ্খলে বন্দী, সে ভাঙতে পারে না শিল্পের জন্য নিয়ম। তবে একজন শিল্পীর সেই ক্ষমতা আছে। দৃশ্য বা অদৃশ্য যে কোনো ভাবরূপ শিল্পীর মাধ্যমে স্থিতিশীল রূপপ্রকাশ ঘটাই হল শিল্পকলা। কথায় বলে, অনুভূতি থেকে জ্ঞানের উদ্ভব, যার থেকে জন্ম হয় শিল্পের। এমনই একজন দক্ষ বিশেষ ভাবে সক্ষম শিল্পী থিম্পুর পেমা সেরিং। অল্প বয়সেই জটিল রোগে অকেজো হয়ে পড়ে পেমার দুই হাত। কিন্তু নিজের অদম্য ইচ্ছা শক্তির জোড়ে, পেমা আজ থিম্পুর একজন পরিচিত কাঠ শিল্পী ও রং শিল্পী।
হাতের অক্ষমতার কারণে পেমা তার পাকেই হাত হিসেবে ব্যবহার করতে শিখতে শুরু করেন। অল্প বয়স থেকেই এই শিল্পকলা হয়ে উঠেছিল পেমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। শিল্পের মধ্যেই পেমা অনুভব করতে থাকে, বেঁচে থাকার আনন্দ। নিজের পায়ের মাধ্যমে বাটালি ও অন্যান্য যন্ত্র চালিয়ে পেমা অনায়াসে তৈরী করে ফেলেন নানা ধরণের নকশা সহ কাঠের বিভিন্ন শিল্প কর্ম। এছাড়াও পা দিয়ে তুলি চালিয়েই পেমা এঁকে ফেলেন চোখ ধাঁধানো ছবি। তার তৈরী কাঠের ভাস্কর্য ও ছবি দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমান দেশ সহ বিদেশের বহু শিল্পপ্রিয় পর্যটকেরা।
নিজের অসামান্য শিল্প দক্ষতার পাশাপাশি পেমা একজন প্রফেশনাল তিরন্দাজ ও বটে। পা দিয়ে তির চালিয়ে অনায়াসে লক্ষ্য ভেদ করতে পারে পেমা। ২০০৫ সালের প্যারালিম্পিকে জাতীয় তীরন্দাজ হিসেবে ভুটানের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন পেমা। পেমার কথায়, “শারীরিক অসুস্থতার জন্য আমার মনে হয়েছিল যে আমি কোনও কাজ করার জন্যই উপযুক্ত নই, তাছাড়া আমি স্কুলেও যাইনি এবং তাই আমার পুঁথিগত জ্ঞানও ছিল না। তাই আমি খোদাই এবং পেইন্টিং করার কাজই বেছে নিয়েছিলাম।” পেমার বয়স যখন ১৮ বছর, পেমার অসাধারণ শিল্প কর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে, দেশের তৎকালীন রাণীমা তাকে আশ্রয় দেন। তিনিই পেমাকে সাহায্যের পাশাপাশি, পেমার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষার ব্যাবস্থা ও করেন। তবে নিজের শিল্প কর্ম বিক্রি করে পেমা এখন স্বনির্ভর। পেমার ভবিষ্যত স্বপ্ন শিক্ষকতার মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি কোণায় শিক্ষার আলো পৌছে দেওয়া।
Discussion about this post