মধ্যপ্রাচ্য সংকটের কেন্দ্রবিন্দু গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েলের অকৃপণ বোমা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। হামাস বাহিনীর আক্রমণের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ ইজরায়েলের অস্ত্রশক্তির ক্ষমতা প্রদর্শন শুরু হয়েছিল চলতি বছরের ৭ অক্টোবর। মাঝে কেটে গেছে যে দুঃস্বপ্নের মতো একমাস তা নাড়িয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ভারসাম্য।
ইজরায়েলি আক্রমণে গাজায় জীবনহানির পরিসংখ্যান সরকারি ভাবে যা উঠে আসছে তা ভয়ঙ্কর। ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন দশ হাজারের বেশি সাধারণ মানুষ, যার মধ্যে রয়েছে ৪০০০টি নিষ্পাপ শিশুও। দেদার বোমা বর্ষণে বাদ যায়নি বিদেশী দূতাবাস, হাসপাতাল এমন কী স্কুলও। নারকীয় ঘটনাবলীর সাক্ষী গাজার স্কুল দপ্তর তাই চলতি ২০২৩-২০২৪’র শিক্ষাবর্ষকে স্থগিত ঘোষণা করেছে। দুর্ভাগ্যজনক এই ঘোষণার নিন্দায় মুখর হয়েছে পৃথিবীর নানা প্রান্তের পড়ুয়া সমাজ ও শান্তিকামী মানুষজন।
গাজার স্কুল দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৪০০০ মৃত শিশুর মধ্যে উদ্ধার করা গেছে প্রায় ২০০০টি শিশুর নিষ্প্রাণ দেহ। অর্ধেক শিশুর লাশ এখনও রয়েছে ধ্বংসস্তূপের তলায়। ইজরায়েলি বোমা থেকে প্রাণ বাঁচাতে গাজার স্কুলগুলি রূপান্তরিত হয়েছে আশ্রয় শিবিরে। মানব সম্পদ বিকাশের লক্ষ্যে গড়ে ওঠা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন তৎপর ন্যূনতম মানুষের প্রাণরক্ষার কাজে। কিন্তু ইজরায়েলি আক্রমণ বাদ রাখছে না স্কুলগুলিকেও যার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্বের সভ্য সমাজ। প্রসঙ্গত, নিকট অতীতে কোভিড মহামারীর সৌজন্যে বিশ্বজুড়ে বেহাল হয়ে পড়েছিল শিক্ষা ব্যবস্থা। এহেন যুদ্ধের জন্য গাজার গোটা শিক্ষাবর্ষের স্থগিত হওয়া নিঃসন্দেহে বিপুল হতাশার কারণ। শিক্ষা জগতে নেমে আসা আঁধার গাজার ৬,২৫,০০০ তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যতের ওপর এঁকে দিয়েছে সংশয়ের প্রশ্নচিহ্ন।
Discussion about this post