ভোরের আলোর সাথে এবার এসে পড়ার পালা দীপাবলির আলোর। এমনিই গোটা একটা আলোময় দিন প্রায় ৫০০ বছর ধরে কেটে আসছে দেবীনগর কালীবাড়িতে। রায়গঞ্জ শহরের এ বাড়িতে কালীপুজোর রীতি বেশ ব্যতিক্রমী। এ বাড়ির পুজোয় প্রতিমা তৈরি থেকে বিসর্জন সবটাই হয় একদিনে।
শুধু এটুকুই নয়, এ বাড়ির মন্দিরে কোনো ছাদ নেই। চারদিকে দেওয়াল ঘেরা হলেও মাথার উপর খোলা আকাশ। শোনা যায়, মন্দিরের আদল দেবীর আদেশেই এমন ধারায় রাখা হয়েছে। এ যেন বুঝিয়ে দেয় দেবী আর প্রকৃতি আসলে একই। তাই প্রকৃতির স্পর্শ নিয়েই এ বাড়িতে মা কালী পুজিতা হন।
সে সময়ে দিনাজপুর তখনও অবিভক্ত। রাজা গীরিজানাথ রায় স্বপ্নাদেশ পান দেবীর পুজোর জন্য। আরও আদেশ পান দীপাবলির অমাবস্যায় সূর্য অস্ত যাবার পর মায়ের মূর্তি তৈরি করতে হবে। আর পরের দিনের সূর্য ওঠার আগেই পুজো শেষ করে বিসর্জন দিতে হবে। বাকি বছর পুজো হবে কেবল পঞ্চমুণ্ডীর বেদীতে। সেই সাথেই রায়গঞ্জ রাজপথের ধারে তৈরি হয়েছিল ছাদ খোলা এই কালী মন্দির।
৫০০ বছর কম দিনের কথা নয়। এখনও পুজোর নিয়ম অটুট রয়েছে এ বাড়িতে। আজ অবধি তার কোনো অন্যথা হয়নি। মানুষের বিশ্বাস এ মন্দিরের কালী জাগ্রত। আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে মানুষের সমাগম হয়। কালীপুজোর রাতে ভরপুর আনন্দে ভরে ওঠে এই বাড়ি। অসম, ঝাড়খণ্ড, বিহার বিভিন্ন রাজ্যে এ পুজোর বেশ খ্যাতি রয়েছে বলেই শোনা যায়।
Discussion about this post