মা শিবাণী আসলে মা কালীরই একটি রূপ। লোকমুখে তার বেশ কিছু অলৌকিক ঘটনা শোনা যায়। বারুইপুর-কুলপি রোডের সুবুদ্ধিপুর এলাকায় এই শিবাণী পীঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দুর্গাদাস ভট্টাচার্য যিনি ছিলেন একজন সিদ্ধ পুরুষ। ২৫ কার্তিক মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস।
কালী পুজোর দিন শিবাণী পিঠ মন্দিরে অমাবস্যার পুণ্য তিথিতে মায়ের পুজো হবে। অনেক ভক্তের ভিড়ে গমগম করবে মন্দির প্রাঙ্গণ। যদিও বছরের প্রতিটি দিনই এই মন্দিরে ভক্তদের আনাগোনা লেগেই থাকে। রয়েছে তার আবার এক বিশেষ কারণ। মন্দিরের বর্তমান সেবক কিঙ্কর কালিকানন্দ মহারাজ প্রতিনিয়ত মায়ের আরাধনায় ব্যস্ত থাকেন। লোকমুখে শোনা যায় যে সুবুদ্ধিপুরের মা শিবাণী কখনও তার ভক্তদের খালি হাতে ফেরান না। যার যা মনের ইচ্ছা মায়ের সামনে প্রকাশ করলে তা অবশ্যই পূর্ণ হয়। সেই বিশ্বাস নিয়েই আজও ভক্ত সমাগম হয়। ভক্তদের বিশ্বাস ও আরাধনা দেখলে সত্যিই মনে হয় যে শিবাণী পিঠের মায়ের মূর্তি যেন সত্যিই নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। প্রচলিত বিশ্বাস বলছে, মায়ের কাছে পূজো দিয়ে মায়ের পায়ের মাটি ও ফুল পাওয়া যায় তাহলে নাকি সেই ভক্তের কখনও শরীর খারাপ হয় না। মায়ের পায়ের মাটি অনেকেই নিয়ে যেত এবং তা জলে মিশিয়ে খেলে নাকি শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যেত। মন্ত্রপূত ফুল নাকি মাদুলি করে গলায় ধারণ করলে তার জীবনে কোন কষ্ট থাকতো না। মানুষ আজও সেই বিশ্বাস রেখে মায়ের মন্ত্রপুতঃ ফুল কাছে রাখেন। তবে আজকাল আর মায়ের পায়ের মাটি কাউকেই দেওয়া হয় না।
ভক্তরা মায়ের কাছে নিজের মনের কথা বললে তিনি তা শুনতে পান। এমনটাই বিশ্বাস রাখেন ভক্তরা। সত্যিই সেই চিকন কালো রূপের ছটা দেখলে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে যে সত্যিই তিনি জীবন্ত এক প্রতিমা | আগামী ১২ নভেম্বর শ্যামা পূজার দিন সুবুদ্ধিপুরের শিবাণী পিঠ মন্দিরে মায়ের আরাধনা জাঁকজমক করেই পালন করা হবে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, কালো কষ্টিপাথরের মূর্তি যেন সেদিন আরো বেশি করে জীবন্ত হয়ে উঠবে।
Discussion about this post