বাস্তব মানেই তা কঠিন। প্রতিনিয়ত চলে লড়াই। বেঁচে থাকার চেয়েও বড় হয়ে ওঠে সম্মানের সাথে বেঁচে থাকা। পেশার বিচারে বড় ছোটো ভেদাভেদ করা সমাজের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে দিন দিন। তবু সর্বকালের সত্য এটাই যে, কোনো কাজই ছোট নয়। সেটা রাজমিস্ত্রির কাজ হোক বা মুচির। আর তাই প্রত্যেকটি পেশায় কর্মরত মানুষ চায় সেই পেশাকে আঁকড়ে জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে।
তবে যতই পেশা নিয়ে মানুষ বিচার করা হোক গোটা সমাজ কিন্তু চালিত হয় সব রকম কর্মের মাধ্যমে। আর এই পেশার দিক থেকে বর্তমানে অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরী নামক এলাকার এক ব্যক্তি। ওনার নাম রানা দাস। যার পেশাকে একটি শব্দে বর্ণনা করা যায় না। তিনি খাবার শেষে টেবিল পরিষ্কার করেন। বেশ ছোটবেলায় রানার গলায় একটা অপারেশন হয়। সেই থেকেই ডাক্তারের হুকুম ভারী কাজ করা চলবে না। মনের জোরকে সঙ্গী করে পথ চলেন রানা। আর তখনই রানা বেছে নেন তার পেশা। আর পাঁচ জনের মত নিজের জীবনকে থামিয়ে রাখেননি তিনি। শারীরিক অসুস্থতাকে বুড়ো আঙুল দেখানোর সাহস দেখিয়েছেন রানা।
এভাবেই জীবন সংগ্রামে একটু একটু করে এগিয়ে চলেছেন তিনি। কিছুদিন আগে তার একটি বিজ্ঞাপন নজর কাড়ে। ব্যানারের ওপর বড় বড় করে টেবিল পরিষ্কার করার একটা ছোট্ট বিজ্ঞাপন। এই কাজের জন্য কাউকে প্রয়োজন হলে রানার সাথে যোগাযোগ করার পেশাদারী বার্তা। সেই বিজ্ঞাপনই হয়ে উঠেছে অনেক মানুষের অনুপ্রেরণা। এ কারণে সামাজিক মাধ্যমে যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। আসলে বর্তমান সময়টাই এমন যেখানে নিজের প্রচার নিজেকেই করতে হয়। ব্র্যান্ড আকারে নিজেকে মেলে ধরার জন্য রয়েছে সমাজ মাধ্যম। আর আমাদের সকলকে বুঝতে হবে কোনো কাজই ছোটো নয়। অসৎ উপায়ে না গিয়ে পরিশ্রমের জয় হয়ে এসেছে চিরকালই।
চিত্র ঋণ – Literacy Paradise







































Discussion about this post