কথায় আছে “ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়।” আর সে উপায় খুঁজে পেতে যেমন লাগে পরিশ্রম তেমনই লাগে ধৈর্য্য। অদম্য জেদ ছাড়া জীবনের লড়াইতে টিকে থাকা কঠিন। তবু হাল ছেড়ে দেওয়ার কালে ব্যতিক্রম আছে বৈকি।
ঢাকার বিদ্যানন্দপুর স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র সুলতান। স্কুল পড়ুয়া হলেও তার অক্লান্ত পরিশ্রমের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। বাড়িতে অসুস্থ বাবা মা। উপার্জন বলতে সুলতানের তিনটে চাকরি। হ্যাঁ, একেবারে ঠিক পড়েছেন, একটা নয় দুটো নয় তিন তিনটে চাকরি তার। রোজের খবর পৌঁছে দিতে ভোর থেকে শুরু হয় তার পত্রিকা বেচার কাজ। আর তারপর বেলায় তার কাজ আঞ্চলিক এক চায়ের দোকানে। সে কাজ মিটলে ঘরে ফেরা পাখিদের সাথে সে ফেরে ফল বেচতে। এভাবেই চলছে তার জীবন।
সুলতানের এই উপার্জন থেকেই চলে অসুস্থ বাবা মায়ের খরচ। ক্ষুধার্ত পেটের আগুনে জল পড়ে। আর সেই সাথেই সে চালিয়ে যাচ্ছে তার পড়াশোনা। কাজ কাজের সময়ে থাকলেও সকাল ন’টায় সে হাজির হয় স্কুলে। পড়াশোনার প্রতি তার মনোযোগের ভাগ সে আর অন্য কোথাও দেয় না। ভালোবেসে সুলতানকে ‘সুপার ম্যান’ বলে ডাকা হয়। সত্যিই সে এর থেকে কোনো অংশে কম নয়। মাত্র ছ’বছর বয়সে এই দায়িত্বের ভারেও তার শিরদাঁড়া একেবারে টানটান। তার জেগে থাকা চোখের স্বপ্নগুলো একদিন পূরণ হবেই। কারণ ইচ্ছেশক্তি আর পরিশ্রমের মিশেলে তৈরি সিঁড়ি দিয়ে গেলে সাফল্যের দরজা ঠিক পাওয়া যায়।
চিত্র ঋণ – পূর্ব পশ্চিম
Discussion about this post