ভিডিও কলে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল হুগলিতে। সিঙ্গুর থানায় এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন সৌরভ আদক নামের এক সাংবাদিক। তবে উপস্থিত বুদ্ধির জোরে সেই প্রতারণার চেষ্টা রুখে দেন সৌরভ। একাধিক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত তিনি।
কীভাবে ঘটল এই ঘটনা? সৌরভ আদক জানান, গত ৬ জুলাই বেলা ১১.৩০টা নাগাদ নিশা আগরওয়াল নামের একটি ভুয়ো ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মেসেঞ্জারে একটি লিংক আসে তার ফোনে। লিঙ্কে ক্লিক করার পরেই হঠাৎ ভিডিও কল শুরু হয়ে যায় এবং অপর প্রান্ত থেকে তাঁকে অশ্লীল ভিডিও শুরু হয়। এরপর অভিযোগকারীর ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে ফেক ভিডিও রেকর্ড করে তার পরিচিত মহলের কয়েকজনকে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেবার হুমকি দেওয়া হয় তাকে। শুধু তাই নয়, সেই প্রোফাইল থেকে অভিযোগকারীর নাম উল্লেখ করে মানহানির চেষ্টাও করা হয়। অই ভুয়ো প্রোফাইলে মাস্টার এডিট করা ভিডিও শেয়ার করা হয়। তৎক্ষণাৎ তিনি এই বিষয় নিয়ে সিঙ্গুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই জয়ন্ত পাল স্বয়ং এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্তকারীরা আশ্বস্ত করে জানান যে সেই প্রোফাইলের ব্যবহারকারীকে যত দ্রুত সম্ভব গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তদন্তকারীরা বলছেন এধরণের ঘটনা নতুন নয়। শহরে এমন চক্র সক্রিয় হয়েছে। অশ্লীল ভিডিও বা ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করা হচ্ছে। এর আগে নারকেলডাঙ্গায় এমনই এক ঘটনায় এক যুবক আত্মঘাতী হয়। পুলিশ জানাচ্ছে, এমন ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গেই থানায় অভিযোগ করতে হবে। অনেকেই সম্মানহানির ভয়ে পুলিশে জানাতে সাহস পাচ্ছেন না। ফলে অপরাধও বেড়ে চলেছে। আর অচেনা নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কল বা ভিডিও কল ধরার ব্যাপারেও অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে।
Discussion about this post