কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাচারকারীরা সক্রিয় ৷ কখনও ডিম সহ মাছের চারাপোনা বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছে৷ ধরা পড়েছে পাচারকারীও। কখনও বা বিরল প্রজাতির পাখি, প্রাণী উদ্ধার হলেও সুযোগ বুঝে চম্পট দিয়েছে পাচারকারী। এই রকমই এক পাচার সাহসিকতার দমে রুখে দিতে পেরেছেন মলয় পাল নামে আমার আপনার মতোই এক সাধারণ মানুষ। কলকাতা থেকে ফেরার পথে আহিরীটোলা লঞ্চ ঘাটে সন্দেহজনকভাবে দুজনের কাছে দশটি টিয়া ও চারটি বিদেশী পাখি থাকতে দেখেন মলয়বাবু। প্রথমদিকে গল্পের ছলে ওই দুজনের সাথে ভাব জমান মলয়বাবু। তারপর মাঝগঙ্গায় নিজেকে পরিবেশ মঞ্চের সদস্য বলে পরিচয় দিতেই থতমত খায় ওই দু’জন।
মলয়বাবু সালকিয়া বাঁধাঘাটে নামেন এবং ওই দুজনকে নিয়ে পুলিশ ফাঁড়ির কাছে যেতে থাকেন। আর এখানেই শুরু হয় হাতাহাতি। মলয়বাবুর কাছ থেকে কেড়ে নিতে চান একজন পাখির খাঁচাটা। স্থানীয় এক দাদা মলয়বাবুকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেও মাঝবয়সী দুই পাচারকারী পালাতে সক্ষম হয়। মলয়বাবুর ঘাড়ের কাছে ঘুষি চালায় তারা। তারপর মলয়বাবুকে ঠেলে ফেলে পালায়।
পুলিশ ঘাঁটিতে আসার পর মালিপাঁচঘড়া থানার এসআই মলয়বাবুকে থানায় নিয়ে যান। হাওড়ার রেঞ্জার অফিসার নির্মল মন্ডল ফোন করে দুইজন বন-সহায়ককে পাঠান। মলয়বাবু এরপর পাখিগুলোকে বন সহায়কের হাতে তুলে দেন। আজ মলয়বাবু এক সাধারণের প্রতিনিধি হয়েও সাহসিকতার জোরে উদ্ধার করতে পেরেছেন চোদ্দোটি পাখিকে। আর সমাজের কাছে এই বার্তাই দিয়েছেন যে জনসাধারণের সামান্য তৎপরতায় আটকানো সম্ভব ছোট-বড় অপরাধ।
Discussion about this post