আর মাত্র দিন দুয়েকের অপেক্ষা। শুক্রবার সকাল হলেই বেজে উঠবে, “ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল লাগলো যে দোল।” বছরের এই একটা দিনেই তো মনের আনন্দে রঙিন হয়ে ওঠা যার নিশ্চিন্তে! তবে অনেকেরই ভয় থাকে কেমিক্যাল মেশানো রঙ ক্ষতি করবে ত্বকের। আবার কারো ভাবনা থাকে মাথার চুল নিয়ে। কিন্তু কিন্তু করে রঙটা আর খেলা হয়ে ওঠে না। তবে আফসোস একটা থেকেই যায়, কী বলেন? তবে এ বছর বাইরের রঙ না কিনে, বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন না আপনার পছন্দের সব রঙ। নিশ্চয়ই ভাবছেন খুব কঠিন! এক্কেবারেই নয়। আসুন দেখি কোন রঙ কীভাবে বানানো যায়?
লাল রঙ কম বেশি সকলেরই পছন্দের। এই রঙ বানাতে হলে, জবা ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়ো করে ময়দার সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এছাড়াও হলুদ গুঁড়োর ওপর পাতিলেবুর রস ফেলে ভালো করে মিশিয়ে নিলেই পেয়ে যাবেন টকটকে লাল রঙ। লালের পর সবথেকে বেশি ব্যবহৃত রঙ হলো গোলাপি। এই রঙ বানাতে হলে হলুদ গুঁড়োর মধ্যে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। তবে লেবুর রসের পরিমাণ হতে হবে বেশি। এছাড়াও উপায় আছে। কয়েক টুকরো বিট সারা রাত গরম জলে ভিজিয়ে রাখলে সকালবেলা গোলাপি রঙ পাওয়া যাবে।
আরেকটি জনপ্রিয় রঙ হলো হলুদ। এই রঙ বানানো সম্ভব বাড়িতে তৈরি উপকরণ দিয়েই। চার ভাগ বেসন এবং এক ভাগ হলুদ গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে হলুদ রঙ। এছাড়াও গাঁদা ফুলের পাঁপড়ি শুকিয়ে নিয়েও সহজেই পেয়ে যাবেন হলুদ রঙ। কৃষ্ণচূড়া গাছের পাতা শুকিয়ে নিয়ে সহজেই তৈরি করা যায় সবুজ রঙ। তবে মেহেন্দি এবং ময়দা সমান পরিমাণে মিশিয়েও সবুজ রঙ বানানো যায়, যা পরে আবার বাদামি রঙে পরিণত হয়। অন্যদিকে নীলকন্ঠ ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিলে পাওয়া যাবে নীল রঙ।
একটা কথা সব রঙ তৈরি করার সময়ে মনে রাখা দরকার। বাড়িতে বানানো কোনো রঙেই ফুড কালার ব্যবহার করা কিন্তু এক্কেবারেই উচিত নয়। বসন্তকালে বাতাসে মনে লাগে এক অদ্ভুত নেশা। আর দোল পূর্ণিমার রঙের নির্যাস যেন সেই নেশাকেই যেন আরেকটু বাড়িয়ে দেয়।
Discussion about this post